বাংলাদেশে শপিং ব্যাগের পাইকারি বাজার

ব্যাবসা, বাণিজ্যের প্রসারের সাথে সাথে শপিং ব্যাগের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে খুচরা ব্যবসা, সুপারমার্কেট এবং ই-কমার্স সেক্টরে এর ব্যাপক চাহিদা। কিন্ত এর দামের বিষয়ে অনেকেই সচেতন নন। এই ব্লগে আমরা বাংলাদেশে শপিং ব্যাগের পাইকারি বাজার, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, এবং কোথায় এগুলো সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

শপিং ব্যাগ বাজার

ঢাকায় শপিং ব্যাগের পাইকারি দাম বিভিন্ন উপাদান, বাজার এবং চাহিদার ওপর নির্ভর করে। শপিং ব্যাগের পাইকারি দাম বোঝা ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণে সহায়তা করে। বিস্তারিত জানতে ফোন করুন এই নাম্বারে ০১৭০৯৬৩৪০৩০ !

আজই যোগাযোগ করুন !

শপিং ব্যাগের প্রকারভেদ

দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের শপিং ব্যাগ পাওয়া যায়। এগুলোর দাম উপাদান, আকার এবং ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে। নিচে কিছু জনপ্রিয় শপিং ব্যাগের ধরন উল্লেখ করা হলো:

শপিং ব্যাগের প্রকারভেদ
  • প্লাস্টিক শপিং ব্যাগঃ প্লাস্টিক ব্যাগ সাশ্রয়ী এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে, পরিবেশগত উদ্বেগের কারণে এর ব্যবহার কিছুটা কমছে। বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যাগের পাইকারি দাম সাধারণত প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা।
  • পেপার শপিং ব্যাগঃ পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে পেপার ব্যাগের চাহিদা বাড়ছে। এগুলোর দাম প্রতি পিস ৫-২৫ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা কাগজের গুণগত মান এবং মুদ্রণের ওপর নির্ভর করে।
  • জুট শপিং ব্যাগঃ জুট ব্যাগ টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব। ঢাকার পাইকারি বাজারে জুট ব্যাগের দাম প্রতি পিস ৩০-১০০ টাকা, যা ডিজাইন এবং আকারের ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়।
  • ওভেন ও নন-ওভেন ফ্যাব্রিক ব্যাগঃ পি পি ওভেন ও নন-ওভেন ব্যাগগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং জনপ্রিয়। পাইকারি বাজারে এগুলোর দাম প্রতি পিস ১০-৩০ টাকা।
  • কটন বা ক্যানভাস ব্যাগঃ এগুলো প্রিমিয়াম ব্যাগ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ব্র্যান্ডেড পণ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়। দাম সাধারণত প্রতি পিস ৫০-১৫০ টাকা।

শপিং ব্যাগের পাইকারি দামের প্রভাবক উপাদান

শপিং ব্যাগের দাম নির্ধারণে বেশ কিছু বিষয় প্রভাব ফেলে। নিন্মে প্রভাবকগুলো আলোচনা করা হল:

শপিং ব্যাগের মূল্য নির্ধারণ ফ্যাক্টর
  1. উপাদানের গুণমান: উচ্চমানের উপকরণ (যেমন, Biodegradable প্লাস্টিক বা মোটা কাগজ) দাম বাড়ায়।
  2. আকার এবং ডিজাইন: কাস্টম ডিজাইন বা লোগো প্রিন্ট করা ব্যাগের দাম বেশি হয়।
  3. পরিমাণ: বড় পরিমাণে ক্রয়ে প্রতি ইউনিটের দাম কমে।
  4. বাজারের অবস্থান: ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে দামের তারতম্য হয়।
  5. পরিবেশগত নীতি: সরকারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ নীতির কারণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগের চাহিদা এবং দাম বেড়েছে।

ঢাকায় শপিং ব্যাগের শীর্ষ পাইকারি বাজার

ঢাকায় শপিং ব্যাগের পাইকারি ক্রয়ের জন্য কিছু জনপ্রিয় বাজার হলো:

  • এন বিশ্বাস গ্রুপঃ এখানে উন্নত মানের ওভেন ও নন-ওভেন শপিং ব্যাগ পাইকারি মুল্যে পাওয়া যায়। তারা ঢাকায় শপিং ব্যাগের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক ও সরবারাহকারী।
  • চকবাজার: এটি ঢাকার অন্যতম পুরনো এবং বৃহৎ পাইকারি বাজার। এখানে প্লাস্টিক, পেপার এবং নন-ওভেন ব্যাগ সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।
  • ইসলামপুর: জুট এবং কটন ব্যাগের জন্য বিখ্যাত। এখানে কাস্টমাইজড ব্যাগ তৈরির দোকানও রয়েছে।
  • গুলিস্তান: বিভিন্ন ধরনের শপিং ব্যাগের জন্য একটি কেন্দ্রীয় হাব।
  • নিউ মার্কেট এলাকা: এখানে প্রিমিয়াম ক্যানভাস এবং পেপার ব্যাগ পাওয়া যায়।
  • কেরানীগঞ্জ: বড় পরিমাণে প্লাস্টিক এবং নন-ওভেন ব্যাগের জন্য উপযুক্ত।
পাইকারি দামে শপিং ব্যাগ কিনতে চান?
উন্নত মানের ওভেন, নন-ওভেন, প্লাস্টিক, পেপার ও জুট শপিং ব্যাগ অর্ডার করুন।
বিস্তারিত জানতে কল করুন: ০১৭০৯৬৩৪০৩০

শপিং ব্যাগের পাইকারি দামের তুলনামূলক বিশ্লেষণ

নিচে ঢাকার বাজারে শপিং ব্যাগের গড় পাইকারি দামের একটি তুলনা দেওয়া হলো:

ব্যাগের ধরন গড় দাম (প্রতি পিস) গড় দাম (প্রতি কেজি)
প্লাস্টিক ব্যাগ ১-৫ টাকা ১৫০-২৫০ টাকা
পেপার ব্যাগ ৫-২৫ টাকা -
জুট ব্যাগ ৩০-১০০ টাকা -
নন-ওভেন ব্যাগ ১০-৩০ টাকা -
কটন/ক্যানভাস ব্যাগ ৫০-১৫০ টাকা -

নোটঃ দাম বাজার এবং ক্রয়ের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

উপসংহার

ব্যবসায়ীদের জন্য সঠিক ধরনের ব্যাগ নির্বাচন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশবান্ধব ব্যাগে বিনিয়োগ করে আপনি শুধু খরচই কমাতে পারবেন না, বরং আপনার ব্র্যান্ডের ইতিবাচক ইমেজও তৈরি করতে পারবেন।

ঢাকায় অনেক সরবরাহকারী রয়েছে যারা শপিং ব্যাগ সরবরাহ করে। এন বিশ্বাস গ্রুপ তাদের মধ্যে অন্যতম। আপনি যদি উন্নত মানের ওভেন ও নন-ওভেন শপিং ব্যাগ কিনতে চান তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা সুলভ মুল্যে শপিং ব্যাগ বিক্রয় করে থাকে।

বিস্তারিত জানতে ফোন করুন ০১৭০৯৬৩৪০৩০

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর

প্লাস্টিক ব্যাগ সবচেয়ে সাশ্রয়ী, তবে পরিবেশগত কারণে নন-ওভেন বা পেপার ব্যাগ বেছে নেওয়া ভালো। নন-ওভেন ব্যাগ প্রতি পিস ১০-৩০ টাকায় পাওয়া যায়, যা খরচ ও পরিবেশের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ।

হ্যাঁ, বড় পরিমাণে (বাল্ক) ক্রয়ে সাধারণত ১০-২০% ছাড় পাওয়া যায়। সরবরাহকারীর সাথে আলোচনা করে এবং বাজার তুলনা করে সেরা দাম পাওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ সরকার প্লাস্টিক দূষণ কমাতে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাই, পরিবেশবান্ধব বিকল্প যেমন জুট বা নন-ওভেন ব্যাগ বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

ব্যাগের গুণমান, পরিবেশবান্ধবতা, এবং দাম তুলনা করুন। নিশ্চিত করুন যে ব্যাগগুলো আপনার ব্যবসার চাহিদা পূরণ করে এবং সরবরাহকারী নির্ভরযোগ্য। বাল্ক ক্রয়ের আগে নমুনা পরীক্ষা করে নিন।

Other pages you may be interested in...

The interim government’s push for reusable bags in Bangladesh tackles 87,000 tons of plastic waste. Find out how reusable jute bags are leading the change!

From farming to construction, PP woven bags offer strong, affordable packaging. Explore various applications of PP woven bags in the context of Bangladesh.

Explore leading custom non-woven bag manufacturers in Bangladesh. We are providing eco-friendly, durable, and customizable bags for businesses. Contact now!

Read What Our Customers Say

  • 5 Stars
  • Google
N. Biswas Group is a leading corporate house in Bangladesh. There 3-Hole Auto Bricks to ensure quality by using top-quality raw materials, advanced technology, and the latest machinery.
  • 5 Stars
  • Google
Overall, I highly recommend this brick company to anyone looking for high-quality bricks and exceptional customer service. Their attention to detail, commitment to quality, and focus on customer satisfaction make them a top choice for any construction project requiring quality brick materials.
  • 5 Stars
  • Google
N. Biswas Group is one of the leading groups of companies in Bangladesh. The Group is engaged in the manufacturing and marketing of Auto Bricks, Match, PP Woven, Non-Woven Bags, and many more...
Arrow